পশ্চিম তীরে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা ইসরায়েলের, তীব্র নিন্দা বিশ্বজুড়ে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক Published: 21 ডিসেম্বর 2025 22:12 পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা পুরোপুরি রুখে দিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরও ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা (সিকিউরিটি ক্যাবিনেট)। ইসরায়েলের চরম ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের যৌথ প্রস্তাবে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে থাকা অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচ প্রকাশ্যেই বলেছেন, এর মূল লক্ষ্য হলো ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করা’। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি এসব বসতি স্থাপন অবৈধ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান কট্টরপন্থী সরকার এই দখলদারি অব্যাহত রেখেছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: ইসরায়েলের এই উসকানিমূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ইসরায়েলের এই ‘নিরবচ্ছিন্ন’ বসতি সম্প্রসারণ সহিংসতা উসকে দিচ্ছে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এটি কেবল ফিলিস্তিনিদের চলাচলের অধিকারই সীমিত করছে না, বরং সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নকে আরও ধূলিসাৎ করছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপট:

  • সহিংসতা বৃদ্ধি: ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সহিংসতা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে।

  • বসতি স্থাপনকারী: পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘পিস নাও’–এর তথ্যমতে, বর্তমানে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে।

  • পুরানো বসতি পুনরায় চালু: নতুন অনুমোদিত বসতিগুলোর মধ্যে ‘গানিম’ ও ‘কাদিম’ নামে দুটি বসতি রয়েছে, যা ২০ বছর আগে ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

  • মার্কিন অবস্থান: এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন যে, পশ্চিম তীর আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলে যুক্ত করা হলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারাতে পারে।

শান্তি আলোচনার প্রধান শর্ত অনুযায়ী পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকাকে নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের কথা থাকলেও ইসরায়েলের বর্তমান সরকার শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বর্তমান সরকারের আমলে বসতি সম্প্রসারণ ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

Please share your comment:

Related