ইরানি তেল পরিবহনের অভিযোগে ২৯ ট্যাংকারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তেল পরিবহনে জড়িত ২৯টি ট্যাংকারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে এসব জাহাজ পরিচালনাকারী একাধিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানায়।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের দাবি, নিষেধাজ্ঞাভুক্ত এসব জাহাজ ও কোম্পানি প্রতারণামূলক শিপিং পদ্ধতির মাধ্যমে শত শত মিলিয়ন ডলারের ইরানি পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহন করেছে। এসব জাহাজকে সাধারণত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বলা হয়—যেগুলো মালিকানা গোপন রেখে, বীমা কাভার ছাড়াই এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম এড়িয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।
ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি জন হার্লি বলেন, ইরান তার তেল আয়ের অর্থ সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যয় করে। সেই অর্থপ্রবাহ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মিশরীয় ব্যবসায়ী হাতেম এলসাইদ ফারিদ ইব্রাহিম সাকরসহ তার সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি কোম্পানির নামও রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা অন্তত সাতটি নিষিদ্ধ জাহাজ পরিচালনায় যুক্ত ছিল।
এদিকে ইরানের জাতিসংঘ মিশন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির অংশ হিসেবেই ওয়াশিংটন এই নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করল।

Please share your comment: