ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ— হোয়াইট হাউসের দাবিতে তীব্র উত্তেজনা
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলারের মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র–ভেনেজুয়েলা সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত। মিলার দাবি করেছেন, ভেনেজুয়েলার তেল আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ এবং দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণ ছিল ‘চুরি’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আমেরিকানদের শ্রম ও বিনিয়োগে গড়ে ওঠা তেলশিল্প জবরদখল করা হয়েছে এবং সেই সম্পদ সন্ত্রাস ও মাদক পাচারে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের—এই নীতির কথা স্মরণ করিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেনেজুয়েলার ভূখণ্ডের তেল দেশটিরই। ১৯৭৬ সালে তেলখাত জাতীয়করণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত পিডিভিএসএ’র অধীনে নেয় কারাকাস; ২০০৭ সালে হুগো শাভেজ বাকি বিদেশি প্রকল্পও জাতীয়করণ করেন। এ নিয়ে আইনি বিরোধ এখনও চলমান।
এদিকে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি জোরদার করেছেন। সাম্প্রতিক ঘোষণায় তেলবাহী ট্যাংকারে অবরোধ ও নৌবহর মোতায়েনের কথাও বলেছেন তিনি। ফলে তেলকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন–কারাকাস সংঘাত আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

Please share your comment: