শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)–এর বরাতে ডেইলি সাবাহ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, নিহত সন্ত্রাসীরা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা তাদের সহযোগী সংগঠনের সদস্য। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত এসব সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে।
গত বুধবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররম জেলায় পরিচালিত অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ২৩ সন্ত্রাসীকে হত্যা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
পরবর্তীতে জারি করা আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, মহমান্দ, লাক্কি মারওয়াত ও ট্যাংক জেলায় ১৮–১৯ নভেম্বর পরিচালিত তিনটি পৃথক অভিযানে আরও ৭ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, বিদেশি শক্তির মদদে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তান পূর্ণ গতিতে অভিযান চালিয়ে যাবে।
ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, কাবুল সরকার পাকিস্তানি তালেবানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। গত সপ্তাহে আদালতপ্রাঙ্গণে হওয়া আত্মঘাতী হামলাটিও আফগানিস্তান থেকে পরিকল্পিত ছিল বলে দাবি করে পাকিস্তান। হামলায় ১২ জন নিহত ও অনেক মানুষ আহত হয়; টিটিপির একটি দল হামলার দায় স্বীকার করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ আরও জোরদার করেছে, যদিও ভারত ও আফগানিস্তান উভয়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। দুই দেশের সম্পর্কও ক্রমেই অবনতি হয়েছে; গত মাসে সীমান্তে সৃষ্ট ভয়াবহ সংঘর্ষে ৭০ জনের বেশি নিহত হয় এবং সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনার পর সীমান্তও বন্ধ হয়ে যায়।
Please share your comment: